অগ্নিযুগের খেলা – আগস্ট বিপ্লব ও একটি বিদ্যায়তন
অগ্নিযুগের খেলা – আগস্ট বিপ্লব ও একটি বিদ্যায়তন
প্রজ্ঞা পারমিতা
আজকের যারা চোদ্দ পনেরো ষোল কিংবা আঠেরো বছরের, তারা মেতেছে সব আজব খেলায়! কখনও ব্লু হোয়েল কখনও কিকি বা মোমো – বিচিত্র সব নাম খেলাগুলোর! মিল একটাই, সব খেলাই বিপজ্জনক, সবেতেই আছে জীবন সংশয়।
কিন্তু আজ থেকে সাতাত্তর বছর আগে বাংলার এক অখ্যাত গ্রাম কল্যাণচকে একটি সাধারণ স্কুলের ঠিক ওই বয়সী একদল ছাত্র মেতে উঠেছিল এক অন্যরকম বিপজ্জনক খেলায়। সেও ছিল জীবন নিয়ে খেলা, প্রাণ থাকাটাই আশ্চর্যের ছিল তাতে! মা-বাবা-ভাই-বোন সবই তুচ্ছ, জীবন তো আরও সামান্য ব্যাপার! ঠিক যেমন আলোর দিকে গাছের কাণ্ড বেঁকে যায়, অল্পবয়সী ছেলেগুলোর জীবনের অভিমুখ সে খেলার দিকে ঘুরে গিয়েছিলো তেমন ভাবে। সে ছিল দেশ স্বাধীন করার খেলা।
১৯৪২ সালের ৮ই আগস্ট নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনে ইংরেজদের দেশছাড়া করতে ‘ভারত ছাড়ো’ প্রস্তাব গৃহীত হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সক্রিয় ভূমিকায় অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা বিশেষত তমলুক মহকুমা ওই সময় বারুদের স্তূপ হয়েছিল। ‘গান্ধীজীর ক্যারেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ ডাক তাতে অগ্নিসংযোগ করে।বর্তমান পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুক থেকে সামান্য দূরে কল্যাণচক গ্রামের স্কুল গৌরমোহন ইন্সটিটিউশনের ছাত্ররা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে দলে দলে ‘আগস্ট বিপ্লবে’ ঝাঁপ দেয়। ২৯শে সেপ্টেম্বর তমলুকে ব্রিটিশ শাসনের প্রতিভূ সরকারী থানা, আদালত ইত্যাদি দখল অভিযানে ওই স্কুলের পঞ্চাশোধিক ছাত্র যোগদান করে। এবং চোদ্দ থেকে আঠেরোর মধ্যে বয়সী তিনটি ছেলে - পুরীমাধব প্রামাণিক, আশুতোষ কুইলা ও উপেন্দ্রনাথ জানা মাতঙ্গিনী হাজরার সঙ্গে একসঙ্গে পুলিশের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায়। পরিণামে ওই বিদ্যায়তন চিরকালের জন্য অসাধারণত্বে উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে ভারতের আর কোন স্কুলের এমন অসাধারণ ঘটনার উদাহরণ নেই যেখানে একই দিনে একই স্কুলের তিন ছাত্র শহীদ হয়েছে এবং ক্ষত বিক্ষত হয়েছে অসংখ্য ছাত্র। এই গৌরবময় ইতিহাসের জন্য গৌরমোহন ইন্সটিটিউশনের বিদ্যালয় পরিসরকে ঐতিহ্যময় স্মারকের মর্যাদা দিয়েছে হেরিটেজ কমিশন। এই সব কিশোরদের কথা ‘ব্লু হোয়েল’ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেয়া আজ ভীষণ প্রয়োজন। যদিও বর্তমান প্রজন্মের ভাষায় তারা হয়তো ‘বার খেয়ে ক্ষুদিরাম’ হয়েছিল।
অনাগত ভবিষ্যতের জন্য সুদিন আনতে গুলি-বৃষ্টির মধ্যেও পতাকা হাতে তুলে নিয়ে এগোতে এগোতে মাতঙ্গিনী সেদিন যে দৃশ্য রচনা করেছিলেন সে কথা ভাবলে ইউজিন দেলাক্রোয়ার ‘লিবার্টি লিডিং দ্য পিপ্ল’ ছবিটির কথা মনে পড়ে যায়। স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক ‘লিবার্টি লিডিং দ্য পিপ্ল’ ছবিটিতে দেখা যায় এক নারী মূর্তি, যিনি স্বাধীনতার রূপক, বিপ্লবের পতাকা হাতে বীরোচিত ভঙ্গিমায় সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এগিয়ে চলেছেন। ফরাসি বিপ্লব চেতনার অভিজ্ঞান এই ছবিটি দেলাক্রোয়া এঁকেছিলেন ১৮৩০ সালের ‘জুলাই বিপ্লব’ স্মরণে। আর ভারতে ১৯৪২ সালে ‘আগস্ট বিপ্লব’এর রেশ ধরে ২৯শে সেপ্টেম্বর ওই ছবিটি যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছিল। এক নারী দীপ্ত ভঙ্গিমায় সহযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করে এগিয়ে চলেছেন। সেই সহযোদ্ধাদের মধ্যে যেমন ছিলেন রামচন্দ্র বেরার মতো পরিণত বয়স্ক ওই অঞ্চলের শ্রদ্ধেয় স্বাধীনতা সংগ্রামীরা, তেমনই অসংখ্য কিশোর ও সদ্য তরুণ।
গৌরমোহন ইন্সটিটিউশনের মাত্র অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র চোদ্দ বছরের পুরীমাধব সেদিন ঠিক মাতঙ্গিনী হাজরার পিছনেই ছিলেন। বিভিন্ন দিক থেকে যখন আন্দোলনকারীদের মিছিল তমলুক থানার সামনে পৌঁছয় ব্রিটিশ পুলিশের লাঠি তাদের ওপর আছড়ে পড়তে শুরু করে। ওই নির্বিচার লাঠিপেটায় বহুসংখ্যক মানুষ লুটিয়ে পড়েছে যখন প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় পিছনের লোকেরা ক্ষণকাল থমকে গেছিল। ঠিক তখন মাতঙ্গিনী জাতীয় পতাকা হাতে বন্দেমাতরম ধ্বনিতে জনগণকে ডাক দিয়ে পুলিশের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে গেলেন। এবার পুলিশ গুলি-বৃষ্টি শুরু করলো। গুলি প্রথমে মাতঙ্গিনীর দুই হাতে লেগেছিলো, তার মধ্যেও তিনি এগোতে থাকেন। গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত দুহাতে পতাকা আঁকড়ে ধরে তিনি গোরা সৈনিকদের ব্রিটিশের গোলামি ছেড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিতে আহ্বান করেন। উত্তরে আবার গুলি চলে এবং এবার তাঁর কপালে লাগে। হাতে ধরা পতাকা নিয়েই মাতঙ্গিনী লুটিয়ে পড়েন। একজন পুলিশ এসে যখন তাঁর পতাকা লাথি মেরে ফেলে দিচ্ছে তখন তাঁর পিছনে থাকা বালক পুরীমাধব একই ভাবে দৃপ্ত পায়ে সামনে এসে ব্রিটিশ পুলিশের মুখোমুখি হয়। মুখে তার স্বর্গীয় হাসি। কণ্ঠে জনজাগানিয়া বন্দেমাতরম। ঝাঁকে ঝাঁকে বুলেট নন্দিত করে সেই কিশোরপ্রাণ। মাথায় ও জানুদেশে গুলি লেগে পুরীমাধবের চোদ্দ বছরের জাগতিক জীবনে সমাপ্তি নামে। তার পরক্ষনেই আরো এক দল কিশোর প্রাণ তুচ্ছ করে গুলিবিদ্ধ হয় যাদের সর্বনিম্ন বয়স তেরো। মাতঙ্গিনী হাজরা তখন তিয়াত্তর। পুরীমাধব চোদ্দ।
একদল বালক ও একজন বৃদ্ধা। এসব তথ্য বাস্তব বোধের হিশেব ভুল প্রমাণ করে দেয়। বালকের বোধ নিশ্চয় বলছিল “স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় রে, কে বাঁচিতে চায়! সেই স্বাধীনতা আনতে প্রাণ গেলেও ক্ষতি কি, আমার পরের প্রজন্ম তো স্বাধীন বাতাসে নিশ্বাস নেবে।” আর ‘গান্ধী বুড়ি’ মাতঙ্গিনী! সত্তরোর্ধ নিরক্ষর বৃদ্ধার কাছে স্বাধীনতার কি ব্যঞ্জনা হতে পারে; শুধুমাত্র নবজাতকের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে চাওয়া ছাড়া! এইসব স্বার্থহীন আত্মত্যাগের ভাবনা থেকে কতদূরে চলে এসেছে আজকের সময়!
আশুতোষ ও উপেন্দ্র, গৌরমোহন ইন্সটিটিউশনের আরও যে দুজন ছাত্র সেদিনকার অভিযানে নিহত হন, তাঁরা দুজনেই প্রবেশিকা স্তরের ছাত্র ছিলেন। মৃত্যুর আগে আশুতোষ চরম ঘৃণায় ব্রিটিশ পুলিশের গায়ে ছুঁড়ে মেরেছিলেন পায়ের জুতো। আর উপেন্দ্র পতাকার দণ্ড দিয়ে পুলিশের চোখে তীক্ষ্ণ আঘাত হেনেছিলেন। শেষে বুকে গুলি খাওয়ার পর যতক্ষণ বেঁচেছিলেন নিজের রক্ত দিয়ে মাটিতে লিখে দিয়েছিলেন ‘বন্দেমাতরম’! গুরুতর আহত হয়েছিলেন স্কুলের অতুলচন্দ্র মাইতি, মুকুন্দ রায়, নিরঞ্জন মাইতি, কানাইলাল দাস, বঙ্কিমবিহারী মাইতি, সুভাষ সামন্ত, কুমুদরঞ্জন মাইতি প্রমুখ ছাত্ররা। আমাদের সৌভাগ্য বাংলা মায়ের কোলে এক কালে অনেক ক্ষুদিরাম এসেছিলেন। ক্ষুদিরাম হতে গেলে বিশেষ পাঁজর লাগে কিনা!
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ‘তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার’এর অন্যতম কুশীলব অজয় মুখোপাধ্যায়ের উক্তিতে ওই তিন ছাত্রের প্রসঙ্গে শোনা গিয়েছিল – “অগস্ট আন্দোলনে দাবানলের ন্যায় জ্বলে উঠল তমলুকের আকাশ বাতাস। পবিত্র হল দামাল বিপ্লবীদের রক্তস্রোতে তমলুকের মাটি। ... কল্যাণচকের তরতাজা তিন ছাত্রের আত্মবলিদান ‘জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে’।”
স্বাভাবিক ভাবেই এহেন ঘটনায় স্কুলে নেমে এসেছিল চরম সঙ্কট। ব্রিটিশ প্রশাসনের শিক্ষা অধিকর্তা রাজশক্তির প্রতি আনুগত্যের বদলে প্রকাশ্য বিদ্রোহে অংশ নেয়ার জন্য প্রথমে কারণ দর্শাতে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়। তারপরেই আবার পত্রাঘাত করে স্কুলের অনুমোদন বাতিল করে দেয়ার চরম হুমকি দিয়ে। শেষে স্কুলটিকে বাঁচাতে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রীপতিচরণ বয়াল নিজেকে সরিয়ে চন্দননগর ফরাসি উপনিবেশে চলে যান। তদানীন্তন বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সম্পাদক লবণ সত্যাগ্রহী শ্রীহংসধ্বজ মাইতিও একই পথ নেন। ওই অঞ্চলের শিক্ষার দীপ যেন না নেভে তাই এই পন্থা বেছে নিতে বাধ্য হন তাঁরা।
একটি সরকার স্বীকৃত বিদ্যালয়ে এমন প্রবল স্বদেশী আবহ কি ভাবে তৈরি হয়েছিল তা স্কুলের পূর্বাপর ইতিহাস অনুসন্ধান করলে স্পষ্ট হয়। মহিষাদল ছাড়া তখন ওই অঞ্চলে আর কোন স্কুল না থাকায় স্থানীয় ভূস্বামী শিক্ষানুরাগী ভবতারণ পাহাড়ী স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন যেমন সমাজহিতৈষী, প্রজাবৎসল এবং তেমনই তাঁর ছিল সদাজাগ্রত দেশপ্রেম। ১৯৩০ সালে হলদি নদীর তীরে নরঘাটে যখন সত্যাগ্রহীদের উদ্যোগে লবণ আইন অমান্য করে দেশীয় পদ্ধতিতে লবণ তৈরি হয়, ভবতারণ পাহাড়ী এক তোলা নুন পাঁচ‘শ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছিলেন।
ভবতারণ পাহাড়ীকে যদি এই বিদ্যালয়ের পিতা বলা যায় তবে সম্পর্কে তাঁরই ভাগিনেয় আরেক কৃতি ভূমিপুত্র শিক্ষাব্রতী সুচিকিৎসক ডাঃ শরৎচন্দ্র মিশ্র নিয়েছিলেন মাতার ভূমিকা। শরৎচন্দ্র ছিলেন এক অক্লান্ত কর্মযোগী। মাত্র ঊনপঞ্চাশ বছরের সীমিত আয়ুর মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তিনি শিক্ষা প্রসার ও সমাজসেবার এমন সব নিদর্শন রেখে গেছেন যে আজও তা স্মরণ করে শ্রদ্ধায় মাথা নত করে সাধারণ মানুষ। বিবাহ ও কর্মসূত্রে তাঁর বসবাসের ঠিকানা মুগবেড়িয়া গ্রামে তাঁর প্রতিষ্ঠিত মুগবেড়িয়া পার্ক প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৫ বছর অতিক্রম করে আজও দাঁড়িয়ে আছে। সেই স্কুল ঘিরে তিনি গড়ে তুলেছিলেন একটি বিশাল পাঠাগার, দাতব্য চিকিৎসালয়, আধুনিক প্রযুক্তির কৃষিকেন্দ্র, উন্নত তাঁতশিল্পকেন্দ্র ইত্যাদি ইত্যাদি যা সার্বিক গ্রামীণ উন্নয়নের দ্যোতক। অবিভক্ত মেদিনীপুরের রেনেসাঁর প্রাণপুরুষ রায়সাহেব গঙ্গাধর নন্দের স্মৃতিতে একটি সংস্থা গড়ে তার মাধ্যমে একদল সমমনস্ক সঙ্গী নিয়ে নিরলস পরিশ্রমে তিনি তাঁর অসামান্য পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়িত করেছিলেন। তাঁর সবচেয়ে চমকপ্রদ কাজ ছিল মুগবেড়িয়ায় প্রতিবছর হিন্দু মেলার মত এক স্বদেশী মেলার আয়োজন করা যা ১৯৩১ থেকে তাঁর মৃত্যুর আগের বছর ১৯৪২ সাল অবধি আয়োজিত হয়েছিল। এমন দেশ সমাজ ও শিক্ষা সচেতন ব্যক্তিত্ব যে নিজের জন্মভূমিতেও তাঁর কর্মের স্বাক্ষর রাখবেন এটাই স্বাভাবিক। তিনি মুগবেড়িয়ার মতোই কল্যাণচক গ্রামকে নানা ভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সমৃদ্ধ করে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে ‘কল্যাণ সেবাশ্রম সংঘ’ নামে একটি সংস্থা গড়েন। তারপর প্রথমেই স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও দেশপ্রেমী বিশিষ্টজনকে সঙ্গী করে মাইনর স্কুলটিকে হাইস্কুলে উন্নীত করার নিরলস প্রচেষ্টায় নামেন। প্রসঙ্গত বলতে ইচ্ছে করে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণী যে জ্ঞান ও চেতনার উন্মেষের উর্বর ক্ষেত্র তার প্রমাণ হাইস্কুলের ছাত্ররাই দিয়েছিল তাদের আত্মাহুতি দিয়ে। যাই হোক, সরকারের অপেক্ষায় না থেকে শরৎচন্দ্র তাঁর তৈরি কল্যাণ সেবাশ্রম সংঘে শুরু করে দেন যথাক্রমে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর পাঠক্রম যা পরে অনুমোদন প্রাপ্ত নতুন হাইস্কুলে উঠে আসে! আমৃত্যু স্কুলটির সাথে যুক্ত থেকেছিলেন তিনি। যদিও আকস্মিক মৃত্যুতে শরৎচন্দ্র মিশ্রের দূরপ্রসারী জাতিগঠনমূলক কাজে ছেদ পড়ে যায় কিন্তু এই স্কুল তাঁকে সতত স্মরণে রেখেছে।
আসলে ভবতারণ পাহাড়ী এবং শরৎচন্দ্র মিশ্র দুজনেই মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন স্বাধীনতার লক্ষ্যে প্রথম ধাপ জাতিগঠন এবং তার একমাত্র মাধ্যম শিক্ষা। এই ধরণের মানুষের অভিভাবকত্বে যে বিদ্যালয় ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল সেই স্কুলের ছাত্ররা যে জীবনের আগে দেশকে রাখবে তাতে আর আশ্চর্যের কি!
তাছাড়া এই স্কুলটি প্রথম থেকে ধারাবাহিক ভাবে পেয়েছিল আদর্শবান এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী শিক্ষকদের। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন শ্রীপতিচরণ বয়াল যিনি দু’ দু’ বার জেল খেটেছেন রাজ শক্তিকে চটিয়ে। গৌরমোহন ইন্সটিটিউশনের আগে তিনি যেখানে যেখানে যুক্ত হয়েছিলেন ছাত্রদের স্বদেশ প্রেমে দীক্ষিত করেছেন। এখানেও তিনি যে ছাত্রদের দেশের কাজে ঝাঁপ দিতে উৎসাহিত উদ্দীপিত করবেন সেটাই স্বাভাবিক।
স্কুল যে আদর্শ মানুষ গড়ার জায়গা তার প্রামাণ্য ইতিহাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কল্যাণচক গৌরমোহন ইন্সটিটিউশন!
প্রজ্ঞা পারমিতা
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটি|অত্যন্ত তথ্যসমৃদ্ধ লেখা |
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteখুব তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনা
ReplyDeleteঅসম্ভব ভালো লিখেছ প্রজ্ঞা, আমি এই স্কুলটার বিষয়েে কিছুই জানতাম না। খুব ভালো লাগলো।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল কয়েকবার তমলুক যাবার।
ReplyDeleteAsaadharon ebong preronamulok
ReplyDeleteএমন সুন্দর একটি মনোগ্রাহী লেখা আজকের নতুন প্রজন্মের সামনে উপ্থাপন করা একান্ত জরুরি। বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাওয়া এই ঘটনাগুলো যেন আমাদের মৃতপ্রায় অন্তরাত্মা কে পুনরুজ্জীবিত করে।
ReplyDeleteলেখিকা র লেখনী তার নামটিকে সার্থক করে তুলেছে।
ভীষণ ভালো লিখেছেন।
ReplyDeleteলেখাটি আমাদেরকে ঐ সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে গেল যা থেকে নতুন প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে।
ReplyDeleteKhub Valo laglo lekhata.
ReplyDeleteআবার একটা অসাধারণ সুন্দর অজানাকে জানানো লেখা পেলাম প্রজ্ঞা আপনার কাছ থেক।
ReplyDeleteনমস্কার।এই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের জন্য ধন্যবাদ।
ReplyDelete